Header Ads

পানি

পানি

অনেক আগে বিজ্ঞানীরা পানিকে মৌলিক পদার্থ বলে মনে করতেন। ইংরেজ বিজ্ঞানী ক্যাভেন্ডিস সর্বপ্রথম অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন গঠিত একটি যৌগিক পদার্থ বলে প্রমাণ করেন।

ভূপৃষ্ঠের প্রায় চার ভাগের তিন ভাগই পানি। পৃথিবীতে যত প্রকার তরল পদার্থ আছে, তার মধ্যে পানি সর্বাপেক্ষা সহজলভ্য। বাতাসের মধ্যে পানি বাষ্প আকারে ভেসে বেড়ায়। পরে এই পানি বৃষ্টি, তুষার বা শিলারূপে মাটিতে ঝরে পড়ে। পর্বতের উপর জমে থাকা বরফ ও বৃষ্টির পানি হতেই বিশাল নদীর উৎপত্তি হয়। আবার প্রাণিদেহে, উদ্ভিদদেহে ও অনেক খনিজ দ্রব্যে পানি আছে। মানবদেহের শতকরা ৭০ ভাগই পানি। পানি একটি উত্তম দ্রাবক। এটি বহু প্রকার পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে। একারণে পানিকে সার্বজনীন দ্রাবকও বলা হয়।
পানির উৎস
____________
১. বৃষ্টির পানি:--- পানির প্রধান উৎস বৃষ্টি। প্রাকৃতিক পানির মধ্যে বৃষ্টির পানি সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ, কিন্তু এর মধ্যেও অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, অ্যামোনিয়া, কার্বন-ডাইক্সাইড, নাইট্রিক ও নাইট্রাস এসিড দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। শহরাঞ্চলে বৃষ্টির পানিতে সালফার-ডাই-অক্সাইড ও সালফিউরিক এসিড থাকে।

ঝরণার পানি:--- বৃষ্টির পানি মাটিতে পড়ে মাটির স্তরের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় বালি, মাটি ও পাথর ইত্যাদি দ্বারা পরিশ্রুত হয়ে এমন এক স্তরে পৌঁছায় যে, সেখানে ভেদ করে আর নিচে যেতে পারে না। তখন পানি ঐ পানি ঝরণার আকারে বা কৃত্রিম উপায়ে কূয়া বা নলকূপ খননের ফলে বের হয়ে আসে। ঝরণা, কূয়া বা নলকূপের পানি স্বচ্ছ, কিন্তু এর মধ্যে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি ধাতুর লবণ ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। ঝরণা ও নলকূপের পানিতে জৈব পদার্থ না থাকায় ইহা পান করার উপযুক্ত।

পুকুরের পানি:----- আমাদের দেশে অধিকাংশ জায়গায় বিশেষ করে পল্লী অঞ্চলে পুকুরের পানি পান করার জন্যও ব্যবহার করা হয়। যে স্হানে পুকুরের পানি ব্যতীত অন্য কোন পানির উৎস নেই সেখানে পুকুরকে সংরক্ষণ করা হয়।

কুয়োর পানি:----
মাটি গর্ত করতে করতে মাটির বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে ভূগর্ভস্থ যে পরিষ্কার পানি পাওয়া যায় সেটাই কুয়োর পানি।

নলকূপের পানি:----- ভূগর্ভস্থ হতে মাটির স্তর ভেদ করে দীর্ঘ নল দ্বারা পানি বের করে আনা হয়। ইহা সাধারণত ৩০/৬০ মি গভীর হয়। সাধারণত নলকূপের পানি বিশুদ্ধ ও জীবাণুমুক্ত হয়। জায়গা অনুযায়ী নলকূপ হতে খর পানি ও মৃদু পানি পাওয়া যায়। ( খর পানি: যে পানিতে প্রচুর সাবান খরচ করলেও সহজে ফেনা হয় না তাকে খর পানি বলে। কুয়ো এবং টিউবওয়েলের পানি প্রায়ই খর হয়। এবং মৃদু পানি: যে পানিতে অতি সহজে ও অল্প সাবানে প্রচুর ফেনা হয় তাকে মৃদু পানি বলে। ঝরণার পানি, বৃষ্টির পানি, নদীর পানি, পুকুরের পানি সর্বদাই মৃদু পানি হয়।)

নদীর পানি:---- পাহাড়ের গলিত বরফ, বৃষ্টি ও ঝরণার পানি এসে নদীতে পড়ে। নদীর পানিতে দ্রবীভূত জৈব ও অজৈব পদার্থ আছে এবং কাদা প্রভৃতি অদ্রবণীয় বস্তুও ভাসমান অবস্থায় থাকে। অনেক সময় নদীর পানিতে রোগের জীবাণু মিশ্রিত থাকে।

সমুদ্রের পানি:----নদীর পানি এসে সমুদ্রে মেশে। নদীর পানিতে ভাসমান বস্তু সমুদ্র সঙ্গমে এসে ব-দ্বীপের সৃষ্টি করে, ফলে সমুদ্রের পানি  স্বচ্ছ কিন্তু এতে দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণ খুব বেশী। সমুদ্রের পানিতে শতকরা প্রায় ৩.৫ ভাগ ধাতব লবণ আছে। তারমধ্যে সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিমাণ ২.৫ ভাগ।
মানবদেহে পানির প্রয়োজনীয়তাঃ
________________________
১. পানি সকল প্রকার পুষ্টিকর দ্রব্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে বহন করে।
২. পানি রক্তের তরলতা বজায় রাখে এবং ইন্টারসেলুলার ফ্লুইড রক্ষণাবেক্ষণ করে। 
৩. পানি দেহের ত্যাজ্য পদার্থগুলিকে কিডনীর মাধ্যমে প্রসাবরুপে এবং চর্মের মাধ্যমে ঘাম রুপে বের করে দেয়।
৪. খাদ্য দ্রব্য হজম ও শোষণের জন্য পানি একান্ত প্রয়োজন।
৫. পানি শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে।
৬. পানি রক্তের স্বাভাবিক PH রক্ষণাবেক্ষণ করে।
৭. দেহের যাবতীয় রাসায়নিক ক্রিয়ায় পানি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
পান করার উপযুক্ত পানিঃ
_______________________
একটা প্রচলিত কথা আছে, 'পিপাসায় না আছে ঘোলা পানি।' অর্থাৎ যে কোন পানি দ্বারা পিপাসা নিবারণ করা যায় কিন্তু পানি সর্বদাই নিরাপদ নয়। পানিকে পানের উপযুক্ত বিবেচনা করতে হলে অন্ততপক্ষে নিম্নলিখিত গুণগুলো অবশ্যই থাকতে হবে। যেমন- 
(১) স্বচ্ছ, বর্ণহীন ও গন্ধহীন।
(২) বিস্বাদ হবে না।
(৩) জীবাণুমুক্ত হবে।
তাছাড়া উপযুক্ত খাবার পানি বিবেচনা করতে হলে মৃদু পানি অপেক্ষা খর পানি অধিক স্বাস্থ্য সম্মত। কারণ--
(১) কেমিক্যাল এনালাইসিসের মাধ্যমে দেখা গেছে খর পানিতে রোগ জীবাণু জন্মাতে পারে না। সুতরাং পানিবাহিত রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে না।
(২) ২৫ ডিগ্রি পর্যন্ত খর পানি ততো ক্ষতিকারক নয়। বরং ইহা বেশি সুস্বাদু।
(৩) খর পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেটে অম্লকে অক্ষম করে। কিন্তু সীসা বা অন্য ধাতুকে গলাতে পারে না। যা মৃদু পানিতে সহজেই সক্ষম। ফলে লেড পয়সনিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। খর পানি পান করলে পানির মাধ্যমে কিছু খনিজ লবণ শরীরে পৌঁছায় ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
বেশি খর পানি ব্যবহারের কুফলঃ
__________________________
১. পানি বেশি খর হলে স্বাদহীন হয়ে যায়।
২. খর পানি ব্যবহারে গ্যাস্ট্রিক, উদরাময় ইত্যাদি হজমের রোগ দেখা দেয়। এমনকি মূত্র পাথরীও জমতে পারে।
৩. খর পানি ব্যবহারে চর্মে প্রদাহের সৃষ্টি হয়।
৪. খর পানিতে অনেক খাদ্য শস্য যেমন- ছোলার ডাল, মসুর ডাল সহজে সিদ্ধ করা যায় না বলে রান্নায় অসুবিধা হয় এবং রান্নায় স্বাদের তারতম্য ঘটে।
৫. খর পানিতে কাপড় পরিষ্কার করার সময় সাবানের অপচয় হয়। জামা-কাপড় কম পরিষ্কার হয়। ব্যবহার করা বাসনে হলুদ লোহার পানি দাগ ধরে।
৬. বয়লারে খর পানি ব্যবহার করলে বয়লারে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের কার্বনেট ও সালফারের স্তর পড়ে। ফলে এতে অধিক তাপ প্রয়োগ করতে  হয়। নইলে বয়লার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
পানিবাহিত রোগঃ
_______________
১. পানিতে নানা প্রকার ধাতব পদার্থ, নানা প্রকার জীবাণুর বাহুল্য থাকলে উদরাময়, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডিসপেপসিয়া ইত্যাদি রোগ হয়।
২. সীসা বা দস্তার পাত্রে পানি রাখলে ঐ সব ধাতব বস্তু পানিতে দ্রবীভূত হয়ে বিষাক্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।
৩. গলিত উদ্ভিদ অথবা জৈব পদার্থ থাকলে অজীর্ণ, উদারাময় ও অন্ত্রপ্রদাহ হতে পারে।
৪. সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো পানিতে মিশ্রিত পানিবাহিত রোগের জীবাণু। যা দ্বারা কলেরা টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, আমাশয়, কৃমি প্রভৃতি পানিবাহিত সংক্রামক রোগে যেকোন  সময় আক্রান্ত হতে পারে।
অজ্ঞতা ও অর্থনৈতিক অভাবের জন্য গ্রামাঞ্চলে পুকুর, কূপ, নদী, খাল-বিলে স্নান করে, কাপড় ধুয়ে, পানি দূষিত করে ফেলে। এই পানি পান করার ফলে রোগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় যক্ষ্মা জীবাণু দ্বারাও পানি এই ভাবে দূষিত হয়। অশিক্ষা ও কুসংস্কারের জন্য গ্রামের লোক ইতস্তত না করে এইসব দূষিত পানি পান করে রোগ আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
পানি দূষণঃ
___________
নানা কারণে পানি দূষিত হয়ে থাকে। 'দূষিত পানি'-- বলতে সাধারণত যে পানি পান করলে আমাদের ক্ষতি হয় তাকেই বুঝায়।

পানির দূষিত পদার্থসমূহঃ
______________________
১. গলিত উদ্ভিদজ পদার্থ:- লতা-পাতা, খরকুটা, পানিতে ডোবা শ্যাওলা প্রভৃতি পঁচে পানিকে দূষিত করে। এই প্রকার দূষিত পানি পান করলে উদরাময়, আমাশয়, শূলবেদনা প্রভৃতি রোগ হতে পারে।

২. গলিত জৈব পদার্থ ও রোগজীবাণু:- মৃত জীবদেহ গলে এবং রোগীর মলমূত্র, আবর্জনা ইত্যাদি মিশে পানি দূষিত হয়। এই প্রকার দূষিত পানি পান করলে কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় প্রভৃতি মারাত্মক ব্যাধি হতে পারে।

৩. ধাতব পদার্থ:-- পানিতে অনেক রকম ধাতব লবণ মিশ্রিত থাকতে পারে অধিক ধাতব পদার্থ মিশ্রিত পানি পান করলে উদরাময়, অজীর্ণ, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি রোগ হতে পারে। পানিতে অধিক পরিমাণ সীসা মিশ্রিত থাকলে পানি বিষাক্ত হয় এবং সেই পানি পানে মৃত্যু হতে পারে। এই জন্য কলের পানি সরবরাহের জন্য সীসার নল ব্যবহার করা হয় না। পানিতে অল্প পরিমাণ আয়রন মিশ্রিত থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
শহরের পানি দূষিত হওয়ার কারণঃ
__________________________
১. শহরের মল-মূত্র ইত্যাদি দূষিত পদার্থ নর্দমা দিয়ে যায়। মাটির নিচে পানির নল ফেটে গেলে নর্দমার পানি ভালো পানির সাথে মিশে পানি দূষিত করে।
২. সরবরাহকৃত পানির ট্যাঙ্কে বা নলের ভিতরে মশা ডিম পাড়ে এবং পতঙ্গাদি পঁচে পানি দূষিত করে।
৩. জমানো পানির ট্যাঙ্ক মাঝে মাঝে পরিষ্কার না করার ফলে পানি দূষিত হয়।

গ্রামাঞ্চলের পানি দূষিত হওয়ার কারণঃ
__________________________
১. পুকুরে গোসল করা, বাসন মাজা, গৃহপালিত পশু ধোয়ানো, মাছ ধরা, কাপড় ধোয়া ইত্যাদি কারণে পানি দূষিত হয়।
২. লতা-পাতা পঁচে এবং পাট পচানোর ফলে পানি দূষিত হয়।
৩. পানিতে মৃতদেহ ফেলার ফলে পানি দূষিত হয়।
৪. পানির মধ্যে পশু-পাখির মল-মূত্র পড়ে পানিকে দূষিত করে।
৫. পানিতে অত্যধিক জলজ উদ্ভিদ থাকার ফলে পানি দূষিত হয়।
পানি বিশুদ্ধকরণঃ
_________________

প্রাকৃতিক উপায়ে পানি বিশুদ্ধকরণ :----(১) সূর্য কিরণের তাপ ও অতি বেগুনী রশ্মি রোগ জীবাণু ধ্বংস করে এবং দুর্গন্ধ দূর করে, ফলে পানি বিশুদ্ধ হয়।
(২) পানিতে যে অক্সিজেন দ্রবীভূত থাকে তা জৈব পদার্থকে দোষমুক্ত করে এবং দুর্গন্ধ নষ্ট করে পানি বিশুদ্ধ করে।
(৩) পুকুর, বিল, চৌবাচ্চা প্রভৃতির স্রোতশূন্য পানির ভাসমান ময়লা জীবাণুসহ তলায় পড়ে যায় এবং উপরের পানি নির্মল ও অনেকটাই দোষমুক্ত হয়।
(৪) জলজ প্রাণি পানির ময়লা খেয়ে পানির কতকটা ময়লা শূন্য করে।
(৫) জলজ উদ্ভিদ পানিতে অক্সিজেন ছেড়ে কিছুটা বিশুদ্ধ করে।
(৬) সঞ্চিত পানিতে রোগজীবাণু বেশিদিন থাকলে তা নিজ হতে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়।

কৃত্রিম উপায়ে পানি বিশুদ্ধকরণ:----(১) পানি ফুটিয়ে:-- গ্রামাঞ্চলে পানি  বিশুদ্ধ করাই সবচেয়ে সহজ পন্থা। একটি ঢাকনাযুক্ত মাটির পাত্রে খানিকটা পানি রেখে ১০ মিনিট আগুনে ফুটালে সমস্ত জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর পাত্রটিকে একস্থানে রেখে ঠান্ডা করলে পানিতে ভাসমান ময়লা পাত্রের নিচে তলানী পড়ে। তারপর উপর হতে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি অন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে নিলেই বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধকরণ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সুবিধাজনক।

(২) রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে পানি বিশুদ্ধ:---পটাশিয়াম- পারমাঙ্গানেট, আয়োডিন, ক্লোরিন, ব্লিচিং পাউডার, চুন প্রভৃতি রাসায়নিক দ্রব্য পানিতে মেশালে জীবাণু মরে যায়। ১ পাইন্ট পানিতে ১ গ্রেন ব্লিচিং পাউডার অথবা ১/২ গ্রেন ক্লোরিন মেশালে ২০ মিনিটের মধ্যে পানি জীবাণুমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধ হয়। এই প্রকার বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে সঙ্গে পান করা যায়। পটাশিয়াম-পারম্যাঙ্গানেট, আয়োডিন, চুন প্রভৃতি মেশালে পানির বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ কিছু সময়ের জন্য বিকৃত হয়ে যায়। কাজেই সেই জল সঙ্গে সঙ্গে পান করা যায় না। তাছাড়া ফিটকিরি দ্বারাও খুব সহজে পানি পরিষ্কার ও পানীয় যোগ্য হয়।

এছাড়াও ধীর বালি ফিল্টার, দ্রুত বালি ফিল্টার, কলসী বালি ফিল্টার ইত্যাদির মাধ্যমেও পানিকে বিশুদ্ধ করা যায়।
                 _____
তথ্য সংগ্রহ: হাইজিন ফর স্টুডেন্ট ও বাংলাপিডিয়া থেকে।

No comments

Powered by Blogger.